Posts

Showing posts from November, 2019

অণু কবিতা - ১

Image
১. উল আনতে বলেছিলাম শীতের শোয়েটার বুনবো তুমি আনলে বিষাদ-গোলা আমি সোজা বুনি উল্টো বুনি যতই বাঁধি কাঁটায় কাঁটায় ততই বিষাদ মাফলার হয়ে যায় ২. ফুলের দিকে চেয়ে দেখলাম সুখ ছুঁয়েছে আঁখি গাছের দিকে চেয়ে দেখলাম ছায়া রেখেছে পাখি কিন্তু তোমার মুখের দিকে চেয়ে প্রশ্ন জাগলো মনে চোখের ভিতর অস্ত্র রাখলো কে? ৩. স্বাভাবিক সম্পর্ক স্বাভাবিক বাঁধের মতো আকৃতি যেমনই হোক আটকায় তো জলই অথচ বইতে পারায় জলের ধর্ম মানুষ কি কখনও বুঝবে না, হিংসে জমাতে জমাতে সে জলকেও বিধর্মী করেছে ! ৪. ছোট্ট দুধ-সাদা ফুল, ঘুমোলে পরে ফোটে নিশিরাতে, ওর নাম স্বপ্নজল ঘুমের ঘোরে গন্ধ ছড়ায় বিছানা বালিসময় ঘুম ভাঙলেই রোদ ঢেলে দেয় সুখের জোছনায় ৫. জল সাক্ষী আমি কাঁদিনি যার বালিস চুরি গেছে  সেই মেয়েটা করুণ সুরে ফুঁপিয়েছিল ৬. যার ক্ষত দেখলে বুক কাঁপে তার উঠোনে দেবদারু গাছের বেড়া ছায়ার সীমান্ত নেই তাই  মলম হাতে এগিয়ে যায় বিভোর প্রেমিক ৭. অপ্রিয় সংকট, তোমার বিস্তার এখনও শিকড় গাঁথেনি, মাটির চাদর এখনও লাল হয়নি অভিমানে। সময় তোমার খারাপ চিরকাল তাই বলে কী তুমি হাসবে না একদিনও? তুমি কী

বাতাস পুরুষ

Image
আজকাল দেশ রাজ্যের খবর রাখা হয় না ভিতরবঙ্গের ডুয়ার্স আর তরাই নিয়েই ভরে থাকি তুমি এখন অফিসে, অন ডিউটি বোধহয় টেবিলে হাত রেখে শীতের রোদ আর পাহাড়ের দিনগুলোর কথা ভাবছো বোধহয় বললাম কারণ তুমি ভীষণ অলস তবে আমি নিশ্চিত, এই মুহূর্তে তুমি আমাকেই ভাবছো কারণ আমার হাত থেকে ঘন ঘন বাসন পড়ছে আমিও নদীতে ছিপ ফেলেছি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে অপেক্ষা করছি কখন ফতনা নড়ে উঠবে। তোমার চোখের তারা গঙ্গার মতো ঘোলাটে কিছুতেই গভীরে দেখা যায় না ভাটার সময় দেখলে মনে হয় গঙ্গা গৃহী অথচ জোয়ারে দেখলে মনে হয় যাযাবর জোয়ার এলে তোমাকে বাতাস-পুরুষ মনে হয় ভাঁটায় তুমি গৃহপালিত পুঁইডাঁটা তবে সময় জাদুকর ঘড়ির কাঁটা পরিণত হলে পুঁইডালেও জমাট বাঁধে লোহিত কনিকা।