Posts

Showing posts from May, 2020

গুচ্ছ কবিতা

Image
মিষ্টতা ১. অলকানন্দার জল ফুটিয়ে চা খেয়েছি চার চামচ চিনি সহ ওভাবে তাকালেন যে? হ্যাঁ আমি মিষ্টি বেশি খাই স্বাদহীন জোলো সম্পর্কেও মুঠো মুঠো চিনি দিয়ে দেখেছি, নিমেষে বদলে যায় গন্ধ মাসকাবারি ফর্দে তাই নুন এক চিনি দুই ২. সংসারে নুন আছে                    চিনির অভাব অথচ নুন চিনি দুটোই এক ফর্দে আসে মাসের প্রথম প্রথম                                   নুনের ব্যবহার বেশি                               অল্পতেই কাজ হয়                         কৌটো ভর্তি তাই                  চিনি দিই মুঠো মুঠো                   শাশুড়ির হাতে               শ্বশুরের পাতে            বরকে, রাতে কৌটো শূন্য হয়                          সম্পর্ক তবুও পানসে

একগুচ্ছ প্রেমের কবিতা

Image
একগুচ্ছ প্রেমের কবিতা ১. তোমার বুকে কাঁচা মাটি হাঁটতে গিয়ে টের পেয়েছি, পা থাকে না বশে আমার চলনে তুমিও ব্যাকুল, খাও দিব্যি শুধু জানতে চাই জখম করার সময় এত নিঠুর হলে কী করে? ২. সমস্ত ঘা জেগে আছে, ঘুমায়নি কত রাত পথ্য ফিরিয়ে দিয়েছি, সেবা ফিরিয়ে দিয়েছি শুধু তুমি বুঝবে না বলে ক্ষতর সুড়ঙ্গ গভীর কত যে আঘাত দিয়েছ, বাঁচিয়ে রেখেছি অবিকল প্রথম দিনের মতো ৩. উপত্যকায় ঘর তোমার পাথরের মতো নিশ্চল চোখ, যতবার তাকাই আহত হই, ফিরে আসি তটে জেনো, শামুক আমি খোলস সর্বস্ব প্রাণী আর নেই পরিচয় তবু মাংসল সম্মানটুকু গুটিয়ে রাখি ওরই ভিতর ৪. নদী বইছিল স্রোতের মুখে সূর্যোদয় সূর্যাস্ত সব চলছিল নিয়ম করে শহরে কাক উড়ছিল রোজের মতো খিদেও পাচ্ছিল সময় সময় হঠাৎ অবোধ তুমি, শিশুর মতো কেঁদে উঠলে উফ ! শিরা ছিঁড়ে বেরিয়ে পড়ল নদী হতাশায় ভেঙে পড়ল রোদ পূর্বপশ্চিমে কাঁদলে কেন তুমি? জানো না , পুরুষের কান্নায় পৃথিবীর পাপ বাড়ে! ৫. হাতঘড়িতে সূর্য ডুবলে আমার ছাদের বাঁদিকে আগে সন্ধে হয়, ডানদিকে কিছু পরে এ সময় জানলার ঝাপসা কাঁচগুলো রোছ ঝন্ ঝন্  করে বলে, "সন্ধে মানে মায়া, চোখের আরাম, এই

গুচ্ছ কবিতা

Image
গাছেদের রক্ত দাও  তোমার বাঁচার রসদ যারা নিঃশর্তে জোগায় উচিয়ে তলোয়ার তুমি ধরছো তারই গলায়? কাটতে হলে আনাজ কাটো                রান্না করো                              আনন্দে খাও কেউ তোমায় বাঁধা দেবে না কিন্তু খবরদার! গাছ কেটো না                                  তফাৎ যাও                                           তফাৎ যাও সমাজের সব অসুখ বিসুখ খেলার ছলে শুষছে তোমার যত বিষ-নিঃশ্বাস ওদের শরীরেই মি শ ছে তাকিয়ে দেখো গাছেরা সব রক্ত স্বল্পতায় ভুগছে হাসপাতালের বেডে শুয়ে রক্তের জন্যেই ধুকছে এগিয়ে এসো, বাঁচিয়ে তোলো                                           ওদের যত্ন নাও                                একটা সবুজ পৃথিবীর গড়তে                                         গাছেদের রক্ত দাও     বিসর্জন  রাগ করো না,  তুমি তো সেই মানুষ যারা মাটির দেবীকে মহা-সমারোহে পুজো করে। নিখুঁত পুজো, পান থেকে চুন খসলে চলবে না, কাঁঠালি কলা জোড়া চলবে না, বেলপাতায় ছিদ্র চলবে না, গঙ্গাজলে ভাটা থাকলে চলবে না, নিচু জাতের বামুন হলেও চলবে না এমনকি ধুনোর গন্ধ, কর্পূরের উবে যাওয়ার ক্ষমতা সবটা যাচাই করে ত