একগুচ্ছ প্রেমের কবিতা
একগুচ্ছ প্রেমের কবিতা
১.
তোমার বুকে কাঁচা মাটি
হাঁটতে গিয়ে টের পেয়েছি, পা থাকে না বশে
আমার চলনে তুমিও ব্যাকুল, খাও দিব্যি
শুধু জানতে চাই জখম করার সময়
এত নিঠুর হলে কী করে?
২.
সমস্ত ঘা জেগে আছে, ঘুমায়নি কত রাত
পথ্য ফিরিয়ে দিয়েছি, সেবা ফিরিয়ে দিয়েছি
শুধু তুমি বুঝবে না বলে ক্ষতর সুড়ঙ্গ গভীর কত
যে আঘাত দিয়েছ, বাঁচিয়ে রেখেছি
অবিকল প্রথম দিনের মতো
৩.
উপত্যকায় ঘর তোমার
পাথরের মতো নিশ্চল চোখ, যতবার তাকাই
আহত হই, ফিরে আসি তটে
জেনো, শামুক আমি
খোলস সর্বস্ব প্রাণী আর নেই পরিচয়
তবু মাংসল সম্মানটুকু গুটিয়ে রাখি ওরই ভিতর
নদী বইছিল স্রোতের মুখে
সূর্যোদয় সূর্যাস্ত সব চলছিল নিয়ম করে
শহরে কাক উড়ছিল রোজের মতো
খিদেও পাচ্ছিল সময় সময়
হঠাৎ অবোধ তুমি, শিশুর মতো কেঁদে উঠলে
উফ ! শিরা ছিঁড়ে বেরিয়ে পড়ল নদী
হতাশায় ভেঙে পড়ল রোদ পূর্বপশ্চিমে
কাঁদলে কেন তুমি?
জানো না , পুরুষের কান্নায় পৃথিবীর পাপ বাড়ে!
৫.
হাতঘড়িতে সূর্য ডুবলে আমার ছাদের বাঁদিকে আগে সন্ধে হয়, ডানদিকে কিছু পরে
এ সময় জানলার ঝাপসা কাঁচগুলো রোছ ঝন্ ঝন্ করে বলে, "সন্ধে মানে মায়া, চোখের আরাম, এই মায়ায় ভুললে মরণ। মনে রেখো, এটা সন্ধে নয় তোমাকে ভুলিয়ে রাখার খেলা, চোখে ছায়া পড়তে দিও না কক্ষনো, রোদ ধরে রেখো"
আমি রাগ করতেই থেমে যায় কাঁচেদের ঝন ঝন আরামে চোখে নিবিড় হয়ে সন্ধে নামে
৬.
লক ডাউন শেষ হলে আমাদের সম্পর্কের ওপর দিয়ে একটি ট্রেন চলে যাবে আবার
বিমর্ষ আমি এক হাতে কেটে যাওয়া মুণ্ডু
অন্যহাতে ধরটাকে ফের বাড়ি অবধি বয়ে আনব
৭.
নিশ্চুপ সন্ধ্যায় পাখিরা ঘরে ফেরে
ঘর বলতে কী বোঝে ওরা?
গাছের ডাল, খড়কুটোর স্তূপ
নাকি ঠোঁট দিয়ে সেলাই করা পাতার শিল্প?
পাখিদের সন্তান-সন্ততি, স্বামী-প্রেমিক
এরাও কি অপেক্ষা করে ফিরে আসার?
একবার উড়তে শিখলে কোন টানে ফেরে?
নাকি শূন্য আকাশ শুধু ভাসাতে পারে
বাঁধতে পারে না!
৮.
মন, তোমার স্পর্ধা নেই
আমার চোখকে অতিক্রম করার
দুর্বলতা যত চোখের কাছেই নত
আর আঘাতের কথা যদি বলো
আমার ডাক নাম ক্ষত
৯.
মৃত্যুপুজোয় বসেছি
পিছু ডাকলেও ফিরব না আর
অসমাপ্ত রেখে পুজো বহুবার উঠে গেছি
ডিঙিয়ে ফেলেছি গণ্ডি বিলক্ষণ
ভুলিয়ে দিয়েছে পৃথিবী
কুশের আসন ছিল পাতা
পশ্চিমে সূর্য অবিশ্বাসে ডুব দেবার আগে
সূর্যমুখীও বেঁকিয়ে নিয়েছিল ঘাড়
আমি দেখেছি
অনেক তো করলাম জীবনের নামে ছেলেখেলা
এখন বিসুখ আছে যত, মথের শরীর জুড়ে
এসো, আমাকে আলিঙ্গন করো
১০.
হঠাৎ
আমচকা
যদি বলো,
বন্ধ করো পুবদিক
অন্ধের মতো রিপু করব পুব আকাশের আলো
হঠাৎ
আচমকা
যদি বলো,
বন্ধ করো পশ্চিম
বাধ্য হরিণীর মতো টেনে দেব পর্দা গোধূলির ওপর
হঠাৎ
আচমকা
যদি বলো,
বন্ধ করো যোগাযোগ
শিকড়ের মতো নীরবে চলব মাটির ভিতর ভিতর
পাখিদের সন্তান-সন্ততি, স্বামী-প্রেমিক
এরাও কি অপেক্ষা করে ফিরে আসার?
একবার উড়তে শিখলে কোন টানে ফেরে?
নাকি শূন্য আকাশ শুধু ভাসাতে পারে
বাঁধতে পারে না!
৮.
মন, তোমার স্পর্ধা নেই
আমার চোখকে অতিক্রম করার
দুর্বলতা যত চোখের কাছেই নত
আর আঘাতের কথা যদি বলো
আমার ডাক নাম ক্ষত
৯.
মৃত্যুপুজোয় বসেছি
পিছু ডাকলেও ফিরব না আর
অসমাপ্ত রেখে পুজো বহুবার উঠে গেছি
ডিঙিয়ে ফেলেছি গণ্ডি বিলক্ষণ
ভুলিয়ে দিয়েছে পৃথিবী
কুশের আসন ছিল পাতা
পশ্চিমে সূর্য অবিশ্বাসে ডুব দেবার আগে
সূর্যমুখীও বেঁকিয়ে নিয়েছিল ঘাড়
আমি দেখেছি
অনেক তো করলাম জীবনের নামে ছেলেখেলা
এখন বিসুখ আছে যত, মথের শরীর জুড়ে
এসো, আমাকে আলিঙ্গন করো
হঠাৎ
আমচকা
যদি বলো,
বন্ধ করো পুবদিক
অন্ধের মতো রিপু করব পুব আকাশের আলো
হঠাৎ
আচমকা
যদি বলো,
বন্ধ করো পশ্চিম
বাধ্য হরিণীর মতো টেনে দেব পর্দা গোধূলির ওপর
হঠাৎ
আচমকা
যদি বলো,
বন্ধ করো যোগাযোগ
শিকড়ের মতো নীরবে চলব মাটির ভিতর ভিতর
This comment has been removed by a blog administrator.
ReplyDelete