বিচ্ছেদের কবিতা
এখন বিচ্ছেদের সময় নয়
আমার কোন ফুল প্রিয় তোমাকে বলা হয়নি তাই এখন বিচ্ছেদের সঠিক সময় নয়, চাকরি পেলে প্রথম দিন কি রঙের শাড়ি পরে স্কুলে যাব ঠিক করা হয়নি তোমার সাথে তাই এখন বিচ্ছেদের সঠিক সময় নয়। আমি নদী ভালোবাসি। আমার প্রিয় নদী দামোদর, তোমাকে বলা হয়নি। গঙ্গা তীরে বাস করলেও গঙ্গা দেখে আমি সুখ পাই না, আমার মনে হয় গঙ্গা নিজেই একজন সুখী নদী। জোয়ার-ভাটা, টলমলে জল, কত স্নানার্থী, পূন্যার্থীর ভিড়, কত পাপ পুণ্যের হিসাব। গঙ্গার ভীষণ মাহাত্ম্য, সে গরবিনী। একলা থাকার, দুঃখ পাবার তার সময় কোথায়! কিন্তু দামোদর দেখলে বুকের ভেতরটা হু হু করে ওঠে। ছোটবেলায় দেশের বাড়ি আমি দামোদর তীরে কাটিয়েছি বহুদিন সেসব গল্পও তোমার সাথে করা হয়নি তাই এখন বিচ্ছেদের সঠিক সময় নয়।
যে পাখিটা প্রথম বাসা বেঁধেছিল আমার চিলেকোঠায় তার গল্প তো তুমি জানো কিন্তু তার ছানাপোনারা এখনও পর্যন্ত আমার চিলেকোঠা ছাড়েনি। ডানা বড় হচ্ছে, উড়ে যাচ্ছে। আবার তার বংশধরেরা এসে ডিম পাড়ছে। ছানাকে খাওয়াবে বলে মায়েরা কত রকমের পোকা নিয়ে এসে ঘরে ছেড়ে দিচ্ছে। তাদের সেসব উৎপাতের গল্পগুলো এখনও তোমার সাথে করা বাকি আছে তাই এখন বিচ্ছেদের সঠিক সময় নয়।
তুমি ছাড়া আমার যে আর কেউ নেই! তাই আগামী দিনে যে সমস্ত নতুন কথারা জন্ম নেবে, সেসব তো তোমাকেই শুনতে হবে তাই এখন বিচ্ছেদের সঠিক সময় নয়।
বিচ্ছেদ গাছ
জীবন বিচ্ছেদ গাছ। ভুল পথ হাঁটা হয়ে গেছিল খানিক এখন জেনেছি যে পথে পায়ের ছাপ রেখে এসেছি সে পথ আমার নয়। যে পদচিহ্নে কোজাগরীর আলপনা আঁকা হয়েছিল সে পাও আমার নয়। উল্টো পথে ফিরতে নেই, উল্টো পথে শুধু রথ ফেরে সসম্মানে, মানুষের সব সোজা পথ একদিন উল্টো হয়ে যায়।
খুব ভালো লাগলো তোমার কোবিতা গুলো পোড়ে,সীমা তুমি আর কিছু কাজ করোকি
ReplyDeleteআমি গৌতম বোলছি
ReplyDelete