Posts

Showing posts from October, 2020

সরালী পাখির পালক

Image
 সরালী পাখির পালক সংকটের সাথে ঘুমের বিরোধ। একজন এলে অন্যজন নীরবে চলে যায়। এই সময়গুলোতে নিজেকে শীতল রাখি, চোখ খুলে রেখে ভাবনায় ঘুমিয়ে নিই খানিক। বিরক্তি ও অরুচিকর সমস্ত স্মৃতির ঝাঁপি তখন বন্ধ। প্রবল ভাবে শুধু মনে করি আমার চোখ এ জীবনে কত বার সুখী হয়েছে। সরালী পাখির পালক ঠিক কতবার উড়ে এসেছে পল্লবিত আঁখির ওপ‍র! একে একে ভেসে ওঠে ছবি। মন যেন রূপকথার মায়া আরশি। প্রথমেই এক নদীর মুখ জুঁইফুল হয়ে ফুটে ওঠে হাতের পাতায়। যে নদী লাল রঙের নরম জিভ দিয়ে শুষেছিল আমার স্তন। তারপর আরশিতে ভেসে ওঠে পাহাড়, বিস্তীর্ন সবুজের গড়াগড়ি খেলা। কাঁচ ভাঙা ঝর্ণার জলে হেঁটে যায় বাতাস-পুরুষ। তার আদুল গায়ে লেগে থাকে স্পর্শকাতর মেঘ। পিটিস ফুলের মতো তার মুখ  ফুটে ওঠে ঊরুভূমিতে, মেটে রঙের জিভ বের করে যে শুষে নিয়েছিল আমার যোনি। তারপর ফুলের ছাদ, লতার দেওয়াল, পাতার জানলা দিয়ে উড়ে যায় এক ঝাঁক ছাতারে। পিছু ডেকে যায় কত বেনামি ডাক, গুমনাম স্পর্শ। চোখের তারায় ফুটে ওঠে ঝুমকোলতার বাড়ি। যা বুক দিয়ে আগলে রাখে এক জোড়া সাদাকালো হাত। অবশেষে সংকট চলে যায়, হিসেব মতো ঘুম আসে। ইচ্ছেশক্তি পায়ের নীচে শিকড় হয়ে জন্মেছি আকাশ-নীলে অপার মেঘ  ম ম করে ভ

চেতনা প্রবাহ মূলক কবিতা

Image
শ্বাসরোধ স্বপ্নের ভিতর রোজ ডুবে যাই আমি। দ্রুত জল ছাড়িয়ে যায় মাথার ওপর। জলের ভিতর যতক্ষন চোখ খুলে রাখা যায় ততক্ষন রঙিন লাগে সব। চোখ বুজলেই হাফিয়ে ওঠে ঠোঁট। বুজবুজি কাটা মাছেরা তখন আমাকে চারপাশে ঘিরে ধরে, বলে, "দম নাও বুক ভরে নয়তো জল খেয়ে ফুলে যাবে পেট।" অধীর হয়ে আমি জলবৃত্তে কার যেন পায়ে পড়ি, বলি, দোহাই তোমার আমাকে শ্বাসরোধে মেরো না।

বিচ্ছেদের কবিতা

Image
এখন বিচ্ছেদের সময় নয় আমার কোন ফুল প্রিয় তোমাকে বলা হয়নি তাই এখন বিচ্ছেদের সঠিক সময় নয়, চাকরি পেলে প্রথম দিন কি রঙের শাড়ি পরে স্কুলে যাব ঠিক করা হয়নি তোমার সাথে তাই এখন বিচ্ছেদের সঠিক সময় নয়। আমি নদী ভালোবাসি। আমার প্রিয় নদী দামোদর, তোমাকে বলা হয়নি। গঙ্গা তীরে বাস করলেও গঙ্গা দেখে আমি সুখ পাই না, আমার মনে হয় গঙ্গা নিজেই একজন সুখী নদী। জোয়ার-ভাটা, টলমলে জল, কত স্নানার্থী, পূন্যার্থীর ভিড়, কত পাপ পুণ্যের হিসাব। গঙ্গার ভীষণ মাহাত্ম্য, সে গরবিনী। একলা থাকার,  দুঃখ পাবার তার সময় কোথায়! কিন্তু দামোদর দেখলে বুকের ভেতরটা হু হু করে ওঠে। ছোটবেলায় দেশের বাড়ি আমি দামোদর তীরে কাটিয়েছি বহুদিন সেসব গল্পও তোমার সাথে করা হয়নি তাই এখন বিচ্ছেদের সঠিক সময় নয়।  যে পাখিটা প্রথম বাসা বেঁধেছিল আমার চিলেকোঠায় তার গল্প তো তুমি জানো কিন্তু তার  ছানাপোনারা এখনও পর্যন্ত আমার চিলেকোঠা ছাড়েনি। ডানা বড় হচ্ছে, উড়ে যাচ্ছে। আবার  তার বংশধরেরা এসে ডিম পাড়ছে। ছানাকে খাওয়াবে বলে মায়েরা কত রকমের পোকা নিয়ে এসে ঘরে ছেড়ে দিচ্ছে। তাদের সেসব উৎপাতের গল্পগুলো এখনও তোমার সাথে করা বাকি আছে তাই এখন বিচ