সরালী পাখির পালক
সরালী পাখির পালক
সংকটের সাথে ঘুমের বিরোধ। একজন এলে অন্যজন নীরবে চলে যায়। এই সময়গুলোতে নিজেকে শীতল রাখি, চোখ খুলে রেখে ভাবনায় ঘুমিয়ে নিই খানিক। বিরক্তি ও অরুচিকর সমস্ত স্মৃতির ঝাঁপি তখন বন্ধ। প্রবল ভাবে শুধু মনে করি আমার চোখ এ জীবনে কত বার সুখী হয়েছে। সরালী পাখির পালক ঠিক কতবার উড়ে এসেছে পল্লবিত আঁখির ওপর! একে একে ভেসে ওঠে ছবি। মন যেন রূপকথার মায়া আরশি। প্রথমেই এক নদীর মুখ জুঁইফুল হয়ে ফুটে ওঠে হাতের পাতায়। যে নদী লাল রঙের নরম জিভ দিয়ে শুষেছিল আমার স্তন। তারপর আরশিতে ভেসে ওঠে পাহাড়, বিস্তীর্ন সবুজের গড়াগড়ি খেলা। কাঁচ ভাঙা ঝর্ণার জলে হেঁটে যায় বাতাস-পুরুষ। তার আদুল গায়ে লেগে থাকে স্পর্শকাতর মেঘ। পিটিস ফুলের মতো তার মুখ ফুটে ওঠে ঊরুভূমিতে, মেটে রঙের জিভ বের করে যে শুষে নিয়েছিল আমার যোনি। তারপর ফুলের ছাদ, লতার দেওয়াল, পাতার জানলা দিয়ে উড়ে যায় এক ঝাঁক ছাতারে। পিছু ডেকে যায় কত বেনামি ডাক, গুমনাম স্পর্শ। চোখের তারায় ফুটে ওঠে ঝুমকোলতার বাড়ি। যা বুক দিয়ে আগলে রাখে এক জোড়া সাদাকালো হাত। অবশেষে সংকট চলে যায়, হিসেব মতো ঘুম আসে।
ইচ্ছেশক্তি
পায়ের নীচে শিকড় হয়ে জন্মেছি
আকাশ-নীলে অপার মেঘ
ম ম করে ভেসে আসে রোদ-বৃষ্টির গন্ধ
না জানি কোন সুখের টানে
সুতলির মতো শিকড় পাকিয়েছি রোজ
জড়িয়েছি অনন্ত জালে
মাকে প্রশ্ন করেছি কবে আকাশ ছোঁবো?
মা বলেছিল, আকাশের অন্য নাম ইচ্ছেশক্তি
আশা বেঁচে থাকলে মাটির নীচেও নীল
অবাধ্য ঘুড়ি খেলা, পাখিদের আলাপন
যে ধরতে জানে এসব শুধু তার
Comments
Post a Comment