Posts

Showing posts from August, 2020

আবৃত্তির কবিতা - ৫

Image
 আবৃত্তির কবিতা মহামারী সংকটকাল আসন্ন প্রভু, এবার তো চোখ মেলো আমার শ্লেট ভেঙেছে সন্ধ্যাদি হাতের রেখায় কাঁচা কঞ্চির দশ ঘা সপাৎ সপাৎ অশ্রু পড়েছে টপ টপ জিদ বেড়েছে আরো জোরে তুমি তখন গভীর ধ্যানে শাস্তি দিলাম আমিই নিজে সন্ধ্যাদির সাধের বাগান গুড়িয়ে দিলাম এক নিমেষে  এরপর দুহাজার সালের বন্যায় ভেসে গেল বাবার  কাঁঠাল বাগান, ডুবে গেল বসতবাড়ি  আমিও সেদিন জলের তোড়ে ভেসেই গেলাম প্রাণ বাঁচলো কোনও ক্রমে, তুমি কিন্তু সেদিনও ধ্যানে।  বলল লোকে ডাকতে হবে নিষ্ঠা ভরে আমি ভাবলাম  আমারই বোধহয় নিষ্ঠার অভাব এবার কিন্তু কালাচ এসে বিষ মেশালো ভাতের থালা নীলচে হলো পৃথিবীর মানুষের আকাশ বাতাস গাছগাছালি এক খাবলে গিলে নিলো মহামারী ঘড়ির কাঁটা ঘুরেই গেল কক্ষপথে, মানুষ সকল বুঝে গেল তুমি ধ্যানস্থ তাই ঈশ্বর ভ্যানিস লেখা আসে না আজকাল। যা কিছু ছুঁয়ে দিই তরল হয়ে গলে পড়ে। ধোঁয়ার মতো উবে যায়। ভাবলাম লিখতে যখন পারছি না তখন অন্তত সংসারটা গুছিয়ে নিই। যেই হাত দিলাম সংসারে অমনি কর্পূরের মতো উবে গেল আমার সাধের আলনা, প্রিয় শাড়ি, পুরোনো ঘড়ি, ওনার ঘামমাখা শার্ট। এমন কি অন্তর্বাসগুলোও বর্ষার মেঘেদের সাথে মিশে বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ল আমার সাধের

বাংলা কবিতা - ৫

Image
  শীতকথা সম্পর্ক এক উলের গোলা বুনতে পারলে শুধু ওম না পারলে উড়ো সিঁড়ি যুঝতে পারলে সফল দ্বীপ না পারলে বিফল চোখে অনেক দ্বীপের ছবি। এক উলের বহু কাজ, কল্পনায় ছুঁলে শোয়েটার মাফলার অথবা মোজা যারা আধবোনা ফেলে রাখে তাদের অপচয়ের আঙুল বিঁধে রয় শুধুই উল্টো সোজা আমার বছর পেরিয়ে গেছে শোয়েটার বোনার উৎসাহে, হলফ করে বলতে পারি নদীর মতো আকাঙ্ক্ষা বুকে কাঁদেনি কোনো নারী শীত একমাত্র তারাই জানে শীতল যাদের বাড়ি ডিসেম্বরের শেষ পাতা, কুয়াশার বিনত চোখ বলেছিল, "সৎ মানুষের শীত নেই, মানুষ সৎ হলে আমি সমুদ্রের জন্যও মাফলার বুনতে পারি।" অন্তহীন সেই যে শীত ফুরিয়েছে  কুয়াশারা ছুটি নিয়ে গেছে তেপান্তরের পার  তারপর সব চুপ ! চোখ থেকে আর জল ঝরেনি, গাছ থেকে ফল না ! আকাশ থেকে বৃষ্টিও না ! মেঠো ইঁদুর আউশ ধানের স্বাদ ভুলেছে চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার আর মানুষ পচা গন্ধ | মেয়েটা ভেবেছিল সে নির্ঘাত মরেছে কিন্তু মৃত্যুর পর ও কেন এমন যন্ত্রণা হয়? নাকি যন্ত্রণা থেকেই আবার জন্ম হয় ?

আধুনিক কবিতা

Image
  'না ' মা বলে, প্রথম বার 'না' উচ্চারণ করেছিলাম খাবার দিতে অস্বীকার করে। ভাই-বোন-আত্মীয় আমার অংশের ভাগ চাইলে ঘাড় নেড়ে বলতাম নাঃ সেই 'না' ছিল ধাতব, স্পষ্ট ঝংকারে কেউ সাহস পেত না আমার খিদে দখলের বড় হয়েছি, এখন আমার সমস্ত 'না' জিভের নরম ছায়ায় ঘুমিয়েছে অঘোরে তাই ক্ষুধার্ত আমি হাসি আর আমার ভাগ খেয়ে যায় বাঘের মাসি পিসি প্রতিবিম্ব একলা থাকি সারাদিন জানলা বন্ধ সন্ধেবেলা সরবে কবিতা পড়ি পথ চলতি মানুষ তর্জনি উঁচিয়ে বিড় বিড় করে বলে যায় দুর্বোধ্য মেঝেতে খেতে বসি, একা দৃশ্যটি আমার ভালো লাগে না দ্রুত খাবার শেষ করতে তাই মুঠো মুঠো ভাত গিলে নিই খাবলে খাবলে খেতে বসে আজ প্রথম আয়নায় চোখ গেল, কাঁচের ভিতর ফুটপাত  আঁৎকে উঠলাম! মনে হলো মানুষে                                           এভাবে খায় না আত্মহত্যা দেওয়াল বেয়ে এক সারি লাল পিঁপড়ে দ্রুত চলে যাচ্ছিল খাটের তলায় অন্ধকারে আমি পথ আঁকটাই, ও চেষ্টা করে ঘুর পথে যাওয়ার আমি আবার ঘিরে ধরি ওদের মধ্যে সব থেকে বেশিবার যে পিঁপড়েটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিল আমি তার নাম রাখলাম আমার নামে, পদবীও দিলাম পূর্বপুরুষের   কিছুক্ষন পর যত্ন করে দু