Posts

Showing posts from February, 2023

প্রেমের কবিতা

  পলল পললের ভিতর এখনও জীবন বেঁচে, পাথর হয়নি প্রাক্তন। সমুদ্রের অতলে সকল অতীত এলোমেলো পড়ে আছে, তোমাকেই সাজিয়ে নিতে হবে শঙ্খ-ঝিনুক, আমার মতো সেতু শুধু পথ জুড়ে দেয় আর চেয়ে চেয়ে জল দেখে। খেলনা মানুষের মন অদ্ভুত! প্রিয় খেলনা হাতে পেলে প্রথম প্রথম যত্ন করে খুব, এমন কি খেলতেও চায় না পাছে ধূলো লাগে। তারপর প্রাণভরে খেলা শুরু করে, খেলা শেষ হলেও বুকে জড়িয়ে রাখে, কাউকে ছুঁতে দেয় না। তারপর হঠাৎ একদিন নিজেই আছাড় মেরে ভেঙে ফেলে, টুকরো গুলো পড়ে থাকে এদিক ওদিক। প্রত্যেক মানুষের মধ্যে এমন এক দক্ষ খেলোয়াড় লুকিয়ে, যারা খেলে আর ভাঙে। ব্যতিক্রমিরা, অদক্ষরা খেলতে জানে না! আজীবন সকলের অলক্ষ্যে সযত্নে তুলে রাখে প্রিয় খেলনাখানি, অবসরে নামিয়ে ধূলো ঝাড়ে, হাত বুলিয়ে আদর করে ফের তুলে রাখে সিন্দুকে, মৃত্যুর পর ওর ভিতরেই অমর অনুভূতিগুলি জমা রেখে যাবে বলে। সাঁঝ..

বাংলা কবিতা

                       বাংলা কবিতা প্রহরী পৃথিবী ঘুরছে না অনেক দিন ধরে, কথাটি সবার প্রথম কোপারনিকাসকে জানালাম, উনি মানতে চাইলেন না, বললেন অসম্ভব, ঝুটা খবর। তারপর গ্যালিলিওকে বললাম, উনি বললেন, "আমি এখন খুব ব্যস্ত, এবার কাছের জিনিসকে দূরে পাঠাতে হবে। দূরত্ববীণ আবিষ্কার করছি। ফর্মূলা রেডি কিন্তু কিছুতেই সরছে না বিষাদ, দুঃখদানি গুলো ভরে আছে নিশিফুলে। আমি বললাম, পৃথিবী যে গোঁয়ার্তুমি করছে, সে খবর কেউ না। গ্যালিলিও বললেন,  দূরবীণে চোখ রাখো। দূরবীণে চোখ রাখলে নলের ভিতর থেকে একটা সাপ আমাকে ছোবল মারতে আসে, আমি মুহূর্তে চোখ সরিয়ে নিই।  গ্যালিলিও চুপ, কোপারনিকাস চুপ কেউ শুনছে না আমার কথা, ভাবছে ভুল বকছি কিন্তু আমি যে লক্ষ করেছি অনেকদিন ধরেই পৃথিবী বসে আছে জলার ধারে শ্মশানের ফাঁকা জমিটিতে। কেন যে মানুষ টের পায় না! আমরা না সজাগ হলে ও হয়তো জলার মৃদু মন্দ শীতল বাতাসে একদিন ঘুমিয়েই পড়বে। অজাত আমার হৃদপিণ্ডের ভিতর একহাঁটু জল। ঠিক ব্যাঙাচির মতো দেখতে একখানি কবিতা রোজ পোকামাকড় খাচ্ছে আর ফুলে ফেঁপে উঠছে। আমি অনুভব করছি আমি বদলে যাচ্ছি একটু একটু করে, ক্রমশ অন্য মানুষ হয়ে উঠছি‌। স্নায়বিক উত্তেজনা বাড়ছে

প্রেমের কবিতা

 সহজ ঘুম রাত গভীর হতেই বৃষ্টিরা শুয়ে পড়লো, ওদের ঘাসের বিছানা ঘুম এলো সহজে। বৃষ্টিরা কথা রেখেছে ছুঁয়েও দেখেনি নদীর বুক, টেনে দেয়নি নদীর গায়ে ছাপা ফুলের চাদর। নদীও ক্লান্ত, দিনরাত বইতে হয় সংসারের জল তাই তার রাতই আসে দচোখে ঘুম নিয়ে বৃষ্টি ঘুমালো, নদী ঘুমালো কিন্তু একটা ঘাস ফড়িং কী করবে? ঘুম এলো না কিছুতেই ! ঘাসের শাখাপ্রশাখায় উড়ে বেড়ালো, সারা রাত সে ধান রুইলো, খুব পরিশ্রম করলো তবুও ঘুম এলো না। ঘাস ফড়িংটা জানে যাদের সহজে ঘুম আসে তাদের ওপর ভাগ্য দেবতা প্রসন্ন। ভারাক্রান্ত বসুন্ধরার হাতে মস্ত লাটাই পায়ের তলা থেকে গুটিয়ে নিচ্ছে মাটি ক্রমশ আমি সরে সরে যাচ্ছি সেই পথে অন্ধকার যে পথে বিছিয়ে রেখেছে বিষধর দংশক আলো ছোঁয়নি আমায়, ফিরিয়ে নিয়েছে মুখ অন্ধকারও দেয়নি আশ্রয়, ছিটিয়ে দিয়েছে থুতু তুমিই বলো, পথ                                  আমি কি এতই ভারি? কাল্পনিক ক্লান্তি কিছু দিন ঘোরে আছি, মানুষ মাটি সবকিছুর ছোঁয়া বাঁচিয়ে মানুষের ছবি দেখি ছাদ থেকে মাথাগুলো কালো কালো, মাটির শরীর দেখি টবের ভিতর দাসত্ব করছে প্রাণপণ এইটুকুই ; ছুঁই না ওদের বাড়ির বাইরে বাগানে ঘোরার সময় ধুলো এড়িয়ে যেতে চপ্পল ব্যবহার করি। আমার জ

ভাঙন

Image
ভাঙন ১. সময় ভেঙে দিলে নতুন করে গড়ে নেওয়া যায় যেমন নদী এক কূল ভাঙে অন্য কূল গড়ে। সবচেয়ে কাছের মানুষটি ভেঙে দিয়ে গেলে মানুষ টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়ে, আর কখনও নিজেকে গুছিয়ে নিতে পারে না! আমৃত্যু ওই‌ ভাঙাচোরা টুকরোগুলো নাড়াচাড়া করে আর ক্ষত বিক্ষত হয়। ২. ভালোবেসে বেঁচেছিল যে সাদা পাখি সে এখন বহুদূর উড়ে গেছে কালো মেঘের ভিতর। তাঁর ডানায় লেপটে গেছে দিনান্তের অস্ফুট অন্ধকার!  ৩. ছায়া থেকে সরে যাচ্ছি সরে যাচ্ছি রোদের দিকে খাদের দিকে পিছু ডাক আসবে না জানি তবু পিছু টান রয়েই যায়।

লক্ষ্মী ঝাঁপির ধান

 লক্ষ্মী ঝাঁপির ধান চোখ উপছে ভেসে গেছে স্বপ্নের নাও আমি নিরুপায় চেয়ে থেকেছি, এ বিপুল স্রোতের মুখোমুখি হওয়ার মতো কলজে আমার নেই! তোমার ফেলে যাওয়া পথে আমি হাঁটতে পারিনি  কোনোদিন! তোমার পদচিহ্ন আঁকা সকল ধুলো যেন  আমার লক্ষ্মী ঝাঁপির ধান বলো, কিভাবে মাড়াই?