প্রেমের কবিতা
সহজ ঘুম
রাত গভীর হতেই বৃষ্টিরা শুয়ে পড়লো, ওদের ঘাসের বিছানা ঘুম এলো সহজে। বৃষ্টিরা কথা রেখেছে ছুঁয়েও দেখেনি নদীর বুক, টেনে দেয়নি নদীর গায়ে ছাপা ফুলের চাদর। নদীও ক্লান্ত, দিনরাত বইতে হয় সংসারের জল তাই তার রাতই আসে দচোখে ঘুম নিয়ে
বৃষ্টি ঘুমালো, নদী ঘুমালো কিন্তু একটা ঘাস ফড়িং কী করবে? ঘুম এলো না কিছুতেই ! ঘাসের শাখাপ্রশাখায় উড়ে বেড়ালো, সারা রাত সে ধান রুইলো, খুব পরিশ্রম করলো তবুও ঘুম এলো না। ঘাস ফড়িংটা জানে যাদের সহজে ঘুম আসে তাদের ওপর ভাগ্য দেবতা প্রসন্ন।
ভারাক্রান্ত
বসুন্ধরার হাতে মস্ত লাটাই
পায়ের তলা থেকে গুটিয়ে নিচ্ছে মাটি ক্রমশ
আমি সরে সরে যাচ্ছি সেই পথে
অন্ধকার যে পথে বিছিয়ে রেখেছে বিষধর দংশক
আলো ছোঁয়নি আমায়, ফিরিয়ে নিয়েছে মুখ
অন্ধকারও দেয়নি আশ্রয়, ছিটিয়ে দিয়েছে থুতু
তুমিই বলো, পথ
আমি কি এতই ভারি?
কাল্পনিক ক্লান্তি
কিছু দিন ঘোরে আছি, মানুষ মাটি সবকিছুর ছোঁয়া বাঁচিয়ে মানুষের ছবি দেখি ছাদ থেকে মাথাগুলো কালো কালো, মাটির শরীর দেখি টবের ভিতর দাসত্ব করছে প্রাণপণ
এইটুকুই ; ছুঁই না ওদের
বাড়ির বাইরে বাগানে ঘোরার সময় ধুলো এড়িয়ে যেতে চপ্পল ব্যবহার করি। আমার জন্মলগ্নের মাটি, আমার পাড়াগ্রামের মানুষ সব ছেড়েছি। কাল্পনিক ক্লান্তি, এতে ঘাম নেই, গন্ধ নেই তবুও চোখ জ্বালা করে। বিচ্ছিন্ন আমি দ্বীপের মতো ঘুমিয়ে পড়ি বেলাভূমিতে, একে একে খুলে যায় সকল গিঁট
কিন্তু স্বপ্নে তোমাকে কবিতা শোনাতে আজও ক্লান্তি নেই
শীতকথা
দূর-সম্পর্ক
পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে সম্পর্ক ভাঙার শব্দ শুনলেই আমি অস্থির হয়ে পড়ি। মনে হয় কত স্মৃতি ছিল পায়ে পায়ে, এখন নেলপালিশ পরা পা দুটো নিশ্চিত অন্য পা জোড়াকে মিস করছে, নিশ্চয় জুতোর রুট বদলে গেছে। এক ছাতার তলায় ছিল দুটো মাথা, ছায়াদের আলাপনে ছাতার আনন্দে দিন কাটতো। এখন ছাতাটা নিঃসঙ্গ কেবল রোদে পোড়ে, জলে ভেজে বারো মাস, ঠোঁট আড়ালের কাজ তার সমাপ্ত হয়েছে।
ভালো থাকুক সব প্রেমিক প্রেমিকারা, বিনিময়ে দূরত্ব নদী হয়ে বয়ে যাক আমার আর তার মাঝে
Comments
Post a Comment