বাংলা কবিতা প্রহরী পৃথিবী ঘুরছে না অনেক দিন ধরে, কথাটি সবার প্রথম কোপারনিকাসকে জানালাম, উনি মানতে চাইলেন না, বললেন অসম্ভব, ঝুটা খবর। তারপর গ্যালিলিওকে বললাম, উনি বললেন, "আমি এখন খুব ব্যস্ত, এবার কাছের জিনিসকে দূরে পাঠাতে হবে। দূরত্ববীণ আবিষ্কার করছি। ফর্মূলা রেডি কিন্তু কিছুতেই সরছে না বিষাদ, দুঃখদানি গুলো ভরে আছে নিশিফুলে। আমি বললাম, পৃথিবী যে গোঁয়ার্তুমি করছে, সে খবর কেউ না। গ্যালিলিও বললেন, দূরবীণে চোখ রাখো। দূরবীণে চোখ রাখলে নলের ভিতর থেকে একটা সাপ আমাকে ছোবল মারতে আসে, আমি মুহূর্তে চোখ সরিয়ে নিই। গ্যালিলিও চুপ, কোপারনিকাস চুপ কেউ শুনছে না আমার কথা, ভাবছে ভুল বকছি কিন্তু আমি যে লক্ষ করেছি অনেকদিন ধরেই পৃথিবী বসে আছে জলার ধারে শ্মশানের ফাঁকা জমিটিতে। কেন যে মানুষ টের পায় না! আমরা না সজাগ হলে ও হয়তো জলার মৃদু মন্দ শীতল বাতাসে একদিন ঘুমিয়েই পড়বে। অজাত আমার হৃদপিণ্ডের ভিতর একহাঁটু জল। ঠিক ব্যাঙাচির মতো দেখতে একখানি কবিতা রোজ পোকামাকড় খাচ্ছে আর ফুলে ফেঁপে উঠছে। আমি অনুভব করছি আমি বদলে যাচ্ছি একটু একটু করে, ক্রমশ অন্য মানুষ হয়ে উঠছি। স্নায়বিক উত্তেজনা বাড়ছে