Posts

Showing posts from October, 2019

জল রঙের কবিতা - ৩

Image
১. সন্ধ্যায় হারিয়েছে বিষন্ন গতিপথ আমার আবছায়া অস্তিত্ব,  বন্ধ্যা ভিটে, প্রদীপের ভিজে সলতে, সুখ যে চাইনি তা নয় অর্জন করতে পারেনি শুধু বার বার মনোবল ভেঙে দিয়েছে এক অদৃশ্য পাথর আমি যতই কপাল বাঁচিয়ে চলি ঈশ্বরের মুখোশ পরা এক কাপুরুষ ছুঁড়ে দেয় পাথর                           ২. জন্ম হয়, মৃত্যু হয়। আমি দেখি ফ্যাল ফ্যাল করে আমার কোনো ভূমিকা নেই জন্মমৃত্যুতে আমি কেবল আমার ভাগের ওমটুকু বিলিয়ে দিই নিঃশর্তে সবটুকু ভালোবাসা দিলেই জানি একদিন ফুল ফুটবে মরা গাছেও তাই ভালোবাসি কিন্তু নির্বিঘ্নে নিতে পারি না কিছুই তাই সঞ্চয়ের ঘরে এক বিরাট গোল্লা সসম্মানে বাস করে

প্রেমের কবিতা - ৫

Image
ব্যক্তিগত নদীর ছায়া আমার মুখের ওপর ঝুঁকে তোমার মুখ দুলে যায় স্রোত ফুঁড়ে উঠে আসে জলদানো ভয় পাই প্রায় আধ ডুবো নৌকা তবু ভাসি শূন্য ঘাট নিকটস্থ ছায়াদের ছাড়াছাড়ি সব শেষে ২. আমার ভ্রমণ ব্যক্তিতন্ত্রে বাস্তুতন্ত্রে এর ওর জগৎ, কবি কবিতা, স্বপ্ন স্বপ্নভঙ্গ রহস্যময় প্রফাইলগুলো, ভিতর ঘরের ক্ষতগুলোর কবরস্থান, যা অক্ষত রাখতে পারিনি আমি। ৩. স্বাভাবিক সম্পর্ক স্বাভাবিক বাঁধের মতো আকৃতি যেমনই হোক আটকায় তো জলই অথচ বইতে পারায় জলের ধর্ম মানুষ কি কখনও বুঝবে না, হিংসে জমাতে জমাতে সে জলকেও বিধর্মী করেছে !

গুচ্ছ কবিতা- ৪টি

Image
অ-সুখে ১. সারারাত শরীরে কালাজ্বর। মনে হয়েছে কেউ আমাকে বাক্স বন্দি জোঁকের ভিতর আঁটকে রেখেছে। গলা শুকিয়ে গেছল, একঢোঁক জল চেয়েছি জোঁকের কাছে। ওদের কান নেই, শুনেনি আমার ডাক। সমব্যথী বোতল নিজেই এগিয়ে এসেছে, কম্পনরত হাত তবু খুলতে পারেনি ছিপি জ্বর হলে আমার খুব কষ্ট হয়, চোখের কোণা থেকে ছলকে ওঠে নোনাজল। বার বার হাঁতড়েছি সেল ফোন, ফোনের ভিতর একটা লক্ষ্মী পেঁচার নম্বর ফোনের ভিতর অভিজাত ফার্মেসি জ্বর হলে কে যেন বিছানার পাশে আয়না রেখে যায়। ২. সেদিন সংক্রান্তি। আলো আবছা হওয়ার পর শব্দতরঙ্গে মিলিয়ে গেল শাঁখের ফুঁ-এর ছায়া বনতুলসি বলল, তুমি পবিত্র নারী তাই তোমাকেও আমি গাছ বলেই ডাকবো আমি সম্মতিসূচক ঘাড় নাড়লাম আসলে মনে মনে কড় গুনে অঙ্ক কষছিলাম সব গাছেরই তো শাখাপ্রশাখা থাকে আমার মতো কজন আর এক ডালে বাঁচে ! সব ঘরেই উৎসব হয় তাবলে সব উৎসব কি আর সব ঘরে কুলোয়? তুলসিতলায় নকুলদানা খেতে আসা লাল পিঁপড়েটা শুনে নিয়েছিল মনের কথা আহার ফেলে বলল, অনন্ত এ পথচলা কিন্তু যে যায় বলুক আমি জানি রোজকার চলায় ওর মুখটা একবার হলেও বিরাম চিহ্ন এঁকে যায়। ৩. আমার একটা গোপন চতুর্ভূজ ছিল, তার ওপ

জলরঙের কবিতা - ২

Image
প্রবেশ নিষেধ শুধু অঙ্ক নয় বহু কিছুই বুঝিনি ব্যাখ্যা ছিল তবুও শব্দগুলোতে দরজা ছিল না, জানলা ছিল না বাইরে দাঁড়িয়ে আছি একই ভাবে ভিতর, তুমিও কি বাইরের পথ চেনো না? পারলৌকিক চাপ আমার জলবায়ু যতদিন লড়তে পারবো  ততদিন যুদ্ধের বর্মটা পরে থাকবো ঢাল,তরোয়াল ক্লান্ত হবে না অবসাদে যখন পারবো না ক্লান্তিতে ঝুঁকে পড়বে কাঁধ, দীর্ঘশ্বাসে উড়ে যাবে মাটি তখনের জন্য আড়াই হাত জমি কিনে রেখেছি আগুন শিখায় সবজান্তা ঈশ্বর লক্ষ্যটা স্পষ্ট, পথটাও  শুধু যে চলবে তার মতিভ্রম কখনও মানুষের ডাক্তার হতে চায়                                        কখনও গোরুর ডাক্তারি পড়তে পড়তে দুম করে সাইড বিজনেস চালু করলো ঘুম বিশেষজ্ঞ হতে চেয়েছিল পৈতৃক বাড়ি ভেঙে পনেরো দিনের মাথায় নাইট ক্লাব খুলে ফেললো লক্ষ্যটা দূর হলেও সূর্যের মতোই দাঁড়িয়েছিল ভূগোল ক্লাসের টেবিলে শুধু আমিই বুঝতে পারলাম না, সুবিধেটা ডিশ অ্যানটেনায় না কেবিলে কখনও অভিনেতা কখনও ডিরেক্টর আশাভঙ্গ হলেই পরে, সুতোয় বাঁধা পুতুল আমি আর তুমি, সবজান্তা ঈশ্বর