জল রঙের কবিতা - ৩
১.
সন্ধ্যায় হারিয়েছে বিষন্ন গতিপথ
আমার আবছায়া অস্তিত্ব, বন্ধ্যা ভিটে, প্রদীপের ভিজে সলতে, সুখ যে চাইনি তা নয়
অর্জন করতে পারেনি শুধু
বার বার মনোবল ভেঙে দিয়েছে এক অদৃশ্য পাথর
আমি যতই কপাল বাঁচিয়ে চলি
ঈশ্বরের মুখোশ পরা এক কাপুরুষ ছুঁড়ে দেয় পাথর
২.
জন্ম হয়, মৃত্যু হয়।
জন্ম হয়, মৃত্যু হয়।
আমি দেখি ফ্যাল ফ্যাল করে
আমার কোনো ভূমিকা নেই জন্মমৃত্যুতে
আমি কেবল আমার ভাগের ওমটুকু বিলিয়ে দিই
নিঃশর্তে সবটুকু ভালোবাসা দিলেই জানি একদিন ফুল ফুটবে মরা গাছেও তাই ভালোবাসি
কিন্তু নির্বিঘ্নে নিতে পারি না কিছুই
আমার কোনো ভূমিকা নেই জন্মমৃত্যুতে
আমি কেবল আমার ভাগের ওমটুকু বিলিয়ে দিই
নিঃশর্তে সবটুকু ভালোবাসা দিলেই জানি একদিন ফুল ফুটবে মরা গাছেও তাই ভালোবাসি
কিন্তু নির্বিঘ্নে নিতে পারি না কিছুই
তাই সঞ্চয়ের ঘরে এক বিরাট গোল্লা
সসম্মানে বাস করে
দুটি দুঃখের কবিতা দেখে মন খারাপ হয়ে গেল। অনবদ্য ভাবে নিজের ভাব প্রকাশ হয়েছে দুটিতেই মার্জিত সরল ভাষায়।
ReplyDelete১
ভাগ্যের বিরম্বনা নিয়ে যখন লিখলেন ই তখন বলি ভাগ্য শব্দটা আপেক্ষিক। মানুষ যত পায় ততই আরো বেশি পেতে চায়। জানি না আমার উপলব্ধি কতটা সত্যি নাকি আমার আপনার মত মানুষেরাই ভগবানের বিষ নজরের আওতায় পরি। যাই হোক কবিতাটা খুব সুন্দর ভাবে গাঁথা হয়েছে। শেষটি খুবই সুন্দর।
২
জন্ম মৃত্যু বিবাহ - তিনটিই নাকি ভগবানের হাতে। সন্তানহীন জীবন যে কষ্টদায়ক সেটা আমার থেকে ভাল কে বুঝবে! এখানেও ভগবানের কাছে নিঃশর্ত প্রার্থনা। কবিতার ভাষায় এক অদ্ভুত মোহ আছে যার ফলে কবিতার প্রতি এক ভাললাগা কাজ করে।
দুটি কবিতাই খুব সুন্দর ভাবে লেখা হয়েছে। ভাব নিপুণ ভাবে প্রকাশিত।
ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকুন। মন ভাল রেখে লিখতে থাকুন।
আপনাকে কি যে বলি ! মন্তব্যের জন্য মুগ্ধতা। ভালো থাকুন। পড়তে থাকুন।
ReplyDelete