সূর্য ওঠার আগে

এখন অন্ধকার। পাখি ডাকেনি, বাতাসে মেশেনি রোদের গন্ধ। ছোট্ট ছোট্ট বিড়াল ছানাগুলো মায়ের কোলের ভিতরে কুঁকড়ে শুয়ে আছে। আমার বাড়ির টেপা কলটা একপায়ে দাড়িয়ে চুপচাপ বিশ্রাম নিচ্ছে, ওর মুখ দিয়ে শিশিরের মত ফোঁটা ফোঁটা জল আর ঝরে পড়ছে না। ভোর হলে প্রথম ও শব্দ তোলে ক্যাচ্ ক্যাচ্ মানে দৌড় শুরু। আজ ভোরের আলো ফোটার অনেক আগে থেকে তোমার জন্য অপেক্ষা করে আছি। প্রথম সকালে তোমাকে ফোন করবো। সেই কন্ঠস্বর, আড়মোড়া, নিঃশ্বাসের শব্দ যা এখন আর কোথাও পাই না, তার অন্বষণেই কাকপক্ষী ওঠার আগে উঠেছি। প্রথম সকালে তোমার গলার আওয়াজে একটা মগ্নতা মিশে থাকে, ওই মগ্নতা নিয়ে যখন আমাকে ডাক নামে ডাকো, ভিতরটা সুখে আন্দলিত হয়ে ওঠে। আমার সুখের ঘর অনেক আগেই সেই পাখিটা ভেঙে দিয়েছে, আমি ইচ্ছে করে যার বাসা ভেঙেছিলাম খেলার ছলে। এই ছোটো ছোটো ইচ্ছেগুলো আজ কাল বুকের ভিতর কফিন খুঁজে নিয়েছে। দিনের আলো তো ফোটে কিন্তু আমার হতাশা ঘোচে না। হতাশা দূর করতে গিয়ে নিজের সাথে যুদ্ধে নামি। যুদ্ধ শেষে দেখি ডুবে গেছি আরো গভীর হতাশায়। 

Comments

Popular posts from this blog

বিচ্ছেদের কবিতা

কবিতা

পাখির কাছে স্বীকারোক্তি

বিষণ্ণতার গল্প

জীবনের কবিতা

ভাঙন

আধুনিক কবিতাগুচ্ছ

প্রেমের কবিতা

বৃষ্টি কুঁড়িগুলো ফুটবে