তিস্তা




















তিস্তা, তোকে বলার ছিল তুই মোটেই আমার প্রিয় বন্ধু ছিলিস না। তোকে কখনও আমি ভালো টালো বাসিনি। আজো তোর নাম শুনলে হিংসেটাই বাড়ে ভিতর ভিতর।

নামে তোর অথৈ জল, বুকে ছিল তৃষ্ণা
গোটা কলেজে তোর স্যারকেই পছন্দ হলো?
যখন জানতিস খোদ বিধাতা আমাদের মধ্যে একটাই বীজ পুতে দিয়েছে তখন তুই প্রাণপণ করলি সবুজ ধ্বংসের। লম্বাচুল আর ছিপছিপে চেহারায় তোকে খারাপ
দেখাত না তবুও আমার তোকে বেখাপ্পা লাগত। গোটা ক্যাম্পাসে আমাদের যে ফেমাস বন্ধুত্বের সুনাম ছিল আসলে ওটা পুরোটাই ফেক। আমরা দুজনেই কেউ কাউকে নয়, স্যারকে পছন্দ করতাম।

তুই মাঝে মাঝে টিফিনে করে যে লুচি আলুর দম পাঠাতিস আমি ওগুলো কখনোই স্যারকে দিইনি,
অন্যদের খাইয়ে দিতাম। আমি তখন জেনে গেছলাম পেট আর মনের মাঝে একটা শর্টকাট রাস্তা আছে।


অনেকগুলো বছর পার হয়ে গেছে।
একটি নদীর তিনটি শাখা হয়ে আমরা বয়ে গেছি।
আজ প্রত্যেকের একটা করে বিচ্ছন্ন পৃথিবী। আমার স্মৃতিপট থেকেও হারিয়ে গেছে বহু মুখ তবুও মাঝে মাঝে স্বপ্নে দেখি তুই  আর স্যার হাত ধরাধরি করে বৃষ্টিতে ভিজছিস। আচমকা ঘুমটা ভেঙে যায়,শরীর জুড়ে ঘাম।

Comments

Popular posts from this blog

পাখির কাছে স্বীকারোক্তি

বিচ্ছেদের কবিতা

ভাঙন

বিষণ্ণতার গল্প

কবিতা

আধুনিক কবিতাগুচ্ছ

লক্ষ্মী ঝাঁপির ধান

গুচ্ছ কবিতা

প্রেমের কবিতা