আবৃত্তির কবিতা - ১
যন্ত্রের ভিতর বাড়ি
যন্ত্র সর্বস্ব হয়ে পড়েছি। কতদিন খালি পায়ে ঘাসের ওপর দিয়ে হাঁটা হয়নি। কতদিন নিজের কাছে ফেরা হয়নি। কতদিন কি-প্যাড ছেড়ে আঙুলে পেন পেনসিল নেওয়া হয়নি। কতদিন নিজের অশ্রুগুলোকে গোছানো হয়নি অথচ শেষ বর্ষা যখন এসেছিল, তখন বুকের মধ্যে আতরের গন্ধ ছিল আসলে অপেক্ষা বড় সুগন্ধী বিষকেও সুরভিত করে তোলে। কখন যে ঘর বাঁধার নামে নিজের চারপাশেই দেওয়াল তুলে গেছি টের পাইনি। আজ একদণ্ড নড়ার জো নেই, যে পাশেই ফিরি দেওয়াল। শেষ ইটটা শুধু গাঁথা বাকি।
দেওয়াল ভেঙে কি বেরিয়ে যাবো? বজ্রপাতের শব্দকে তোয়াক্কা না করে, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আর
একবার কি ফিরে যাবো শৈশবে? ঝাপিয়ে পড়বো বালাসনের পুকুরে, ডুব সাঁতারে খুঁজে নেবো জটাদেবীর পাতাল ঘর। ততক্ষন পর্যন্ত ডুবে থাকবো যতক্ষন না মা লাঠি নিয়ে আসে।
দেওয়াল ভেঙে কি বেরিয়ে যাবো? বজ্রপাতের শব্দকে তোয়াক্কা না করে, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আর
একবার কি ফিরে যাবো শৈশবে? ঝাপিয়ে পড়বো বালাসনের পুকুরে, ডুব সাঁতারে খুঁজে নেবো জটাদেবীর পাতাল ঘর। ততক্ষন পর্যন্ত ডুবে থাকবো যতক্ষন না মা লাঠি নিয়ে আসে।
Comments
Post a Comment