রিং টোন


তুমুল কথার ঝড় উঠেছে

শিল পড়ছে, বাজ পড়ছে

                                 সাথে এলোমেলো হাওয়া

তুমি কেটে দিলে ফোনটা
তিন বার টুং টুং টুং

এইটুকুই ঘটনা 

প্রশ্নপত্রে প্রসঙ্গ লিখতে দিলে
পরীক্ষার্থীরা খাতায় লিখতো
মেয়েটি চিৎকার করে বলেছিল,
আমাকে কক্ষনো ফোন করবে না !
রাগে হতাশায় ফোনটা কেটে দিয়েছিল ছেলেটি
যদি অন্তনির্হিত অর্থ লিখতে দিয়ে
একের বদলে নম্বর তিন দিতাম
পরীক্ষার্থীরা লিখতো
মেয়েটি যতবার ফোন করতে নিষেধ করেছিল
আসলে ততবার ভিতরে ভিতরে বলেছিল
হাজার শব্দদূষণের মধ্যে কেবল তোমার স্বরটুকু আমাকে বাঁচিয়ে রাখে
আমাকে ফোন কোরো না কক্ষনো মানে,
আমাকে আমৃত্যু ফোন কোরো

আমি ফোন না তুললেও যেন রি‌ং হয় অনন্তকাল।

Comments

  1. আপনার লেখার মধ্যে এক অদ্ভুত নেশা আছে যেটাই তাকে অনবদ্য করে তোলে। এবং আপনার অল্প কথায় অনেক কথা প্রকাশের যে ক্ষমতা সে অতুলনীয়।
    আমার বাচালতা কে ক্ষমা করবেন।

    পরীক্ষার্থীরা এটাও লিখতে পারতো - ওই একটা কথায় মরমে মরে গেছিল ছেলেটি। যার শব্দ শোনার জন্য সে ভোর পাঁচটার সময় উঠে যেত, যার কণ্ঠ তাকে বাঁচিয়ে রাখতো, আজ সেটা শোনার ও তার অধিকার নেই। সে ভাবত যে অন্তত তো সেই কলার টিউন টা শুনে তো সে বেঁচে থাকতে পারতো -
    আমার দরজায় খিল দিয়েছি,
    আমার দারুন জ্বর!
    তুমি অন্য কারোর সঙ্গে বেঁধো ঘর।
    তুমি অন্য কারোর সঙ্গে বেঁধো ঘর।

    ReplyDelete
    Replies
    1. কেন জানি না।কথাগুলো বড্ড চেনা চেনা লাগে!
      মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

      Delete

Post a Comment

Popular posts from this blog

বিচ্ছেদের কবিতা

কবিতা

পাখির কাছে স্বীকারোক্তি

বিষণ্ণতার গল্প

জীবনের কবিতা

ভাঙন

আধুনিক কবিতাগুচ্ছ

প্রেমের কবিতা

বৃষ্টি কুঁড়িগুলো ফুটবে