পুতুল ঘর








নদীটা ছিল গোরুর ডাবা, নৌকোটা কাগজের
চাঁদটা ছিল পুরি থেকে কেনা অ্যালুমিনিয়ামের বাতিল ডিশ, তবু জ্যোৎস্না দিত

এই ছিল পুতুলঘর

ওটা আসলে পরিত্যক্ত গোয়াল
গোরু মরেছে কবেই, তখন শুধু ঘুঁটে থাকতো
আর থাকতো এক স্বভাব কবি
খড়ের রঙ , ঝড়ের শব্দ , মাটির ডাক
ব্যাকুল হলেই শুনতে পেত

আজ আর আসল চাঁদেও জ্যোৎস্না নেই
সত্যি গাঙে নৌকো নেই, মাটির নিজের কন্ঠ নেই
জানি না, পুতুলঘর কেন বসত ঘরের চেয়েও ভালো!










Comments

  1. অসম্ভব তীব্র অনুভূতির ফসল এরকম কবিতা। আপনার ভাবনা বোধহয় এই কবিতা লেখার সময় কম ছিল বলে এইটুকুতেই আটকে গেছে। নইলে হয় তো গোবর এর গাদা হয়ে যেত এক টিলা বা পাহাড়, নিকানো মেঝেটা ঘাসবিহীন মরুভূমি আর গরুর ডাবা র খড় হতো নদীর ওপর কচুরিপানা।

    দুর্দান্ত লেখা হয়েছে নতুন করে বলার নেই। অনেক শুভেচ্ছা রইল।

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

বিচ্ছেদের কবিতা

কবিতা

পাখির কাছে স্বীকারোক্তি

বিষণ্ণতার গল্প

জীবনের কবিতা

ভাঙন

আধুনিক কবিতাগুচ্ছ

প্রেমের কবিতা

বৃষ্টি কুঁড়িগুলো ফুটবে