জলরঙের কবিতা -১
নৌকো
আমি কিছুতেই নৌকো আঁকতে পারি না
জাহাজ নয় স্টিমার নয় ভেসে থাকা
একটা ডিঙি নৌকো
জাহাজ নয় স্টিমার নয় ভেসে থাকা
একটা ডিঙি নৌকো
শিশুকাল থেকে বহু চেষ্টা করেছি
ছুলে ছুলে পেনসিল ক্ষয়ে গেছে
মুছে মুছে রাবার
ছুলে ছুলে পেনসিল ক্ষয়ে গেছে
মুছে মুছে রাবার
কিছুতেই আঁকতে পারিনি ভাসা নৌকো
নৌকো আঁকার পর যখন জল আঁকি
অমনি নৌকোর খোল ডুবে যায় জলে
নৌকো আঁকার পর যখন জল আঁকি
অমনি নৌকোর খোল ডুবে যায় জলে
শব্দঢিল
লিখতে বসলে আমার চোখের সামনে শুধু
শ্লেটে লেখা অ আ ক খ অর্থাৎ
কী প্যাড ভেসে ওঠে
ছোট্টছিলাম, আমি তখন মায়ের লেখায় চক বোলাতে ভালোবাসতাম
আঙুল বাঁকানোর পরিশ্রমটা ভালো লাগতো
মাথা ঘামানোর ঝঞ্ঝাট ছিল না বলে
ইদানিং কি-প্যাড থেকে একটা একটা করে
ঢিল কুড়োই, ছুঁড়ে দিই এলোজলে
লাফাতে লাফাতে ঢিলগুলো
ব্যাঙ
সাপ
কাছিম হয়ে যায়
শ্লেটে লেখা অ আ ক খ অর্থাৎ
কী প্যাড ভেসে ওঠে
ছোট্টছিলাম, আমি তখন মায়ের লেখায় চক বোলাতে ভালোবাসতাম
আঙুল বাঁকানোর পরিশ্রমটা ভালো লাগতো
মাথা ঘামানোর ঝঞ্ঝাট ছিল না বলে
ইদানিং কি-প্যাড থেকে একটা একটা করে
ঢিল কুড়োই, ছুঁড়ে দিই এলোজলে
লাফাতে লাফাতে ঢিলগুলো
ব্যাঙ
সাপ
কাছিম হয়ে যায়
আমি মজা পাই
খুশিতে আমার বামহাত ছুঁয়ে দেয় ডানকে
শব্দ ওঠে, তালি বাজে, আরও কত কি !
হেসে উঠি আমি জলোল্লাসে
ছুঁড়তে ছুঁড়তে ঢিল, সেজে ওঠে জল
আমার প্রতিটা নিক্ষেপ যেন অভ্রান্ত তীর
সুখ এড়িয়ে প্রতিবার খুঁজে নেয় অসুখ গভীর
খুশিতে আমার বামহাত ছুঁয়ে দেয় ডানকে
শব্দ ওঠে, তালি বাজে, আরও কত কি !
হেসে উঠি আমি জলোল্লাসে
ছুঁড়তে ছুঁড়তে ঢিল, সেজে ওঠে জল
আমার প্রতিটা নিক্ষেপ যেন অভ্রান্ত তীর
সুখ এড়িয়ে প্রতিবার খুঁজে নেয় অসুখ গভীর
সহজ ঘুম
রাত গভীর হতেই বৃষ্টিরা শুয়ে পড়লো
ওদের ঘাসের বিছানা, ঘুম এলো সহজে
বৃষ্টিরা কথা রেখেছে ছুঁয়েও দেখেনি নদীর বুক
টেনে দেয়নি নদীর গায়ে ছাপা ফুলের চাদর
নদীও ক্লান্ত, দিনরাত বইতে হয় সংসারের জল
তাই তার রাতই আসে দুচোখে ঘুম নিয়ে
ওদের ঘাসের বিছানা, ঘুম এলো সহজে
বৃষ্টিরা কথা রেখেছে ছুঁয়েও দেখেনি নদীর বুক
টেনে দেয়নি নদীর গায়ে ছাপা ফুলের চাদর
নদীও ক্লান্ত, দিনরাত বইতে হয় সংসারের জল
তাই তার রাতই আসে দুচোখে ঘুম নিয়ে
বৃষ্টি ঘুমালো। নদী ঘুমালো।
কিন্তু একটা ঘাস ফড়িং...
কি করবে, ঘুম এলো না কিছুতেই !
কিন্তু একটা ঘাস ফড়িং...
কি করবে, ঘুম এলো না কিছুতেই !
ঘাসের শাখাপ্রশাখায় সে উড়ে বেড়ালো
সারা রাত সে ধান রুইলো
খুব পরিশ্রম করলো তবুও ঘুম এলো না
ঘাস ফড়িংটা জানে যাদের সহজে ঘুম আসে
তাদের ওপর ভাগ্য দেবতা প্রসন্ন
সারা রাত সে ধান রুইলো
খুব পরিশ্রম করলো তবুও ঘুম এলো না
ঘাস ফড়িংটা জানে যাদের সহজে ঘুম আসে
তাদের ওপর ভাগ্য দেবতা প্রসন্ন
অসাধারণ, মুগ্ধতা রেখে গেলাম।
ReplyDeleteপ্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নি দেরিতে মন্তব্য করার জন্য। তিনটি সহজ ভাষায় লেখা কবিতা পড়ে সুন্দর লাগল। তিনটি ই আক্ষেপের কবিতা বলে মনে হল আমার দৃষ্টকোণ থেকে। তিনটি সমন্ধে আলাদা করে মন্তব্য করি।
ReplyDeleteনৌকো
এই কবিতায় কবি বোধহয় নৌকো কে একটি সুন্দর স্বাভাবিক জীবন এর সঙ্গে তুলনা করেছেন। কবিতায় একটি অতৃপ্তি বারবার প্রকাশ পাচ্ছে। কিন্তু সাধারণ ভাষায় লেখা কবিতা টি অনবদ্য।
শব্দঢিল
এই কবিতার ভাষাশৈলী অনবদ্য। টাইপ করার সাথে আঙ্গুল বাকানোর তুলনাটা আমার দারুন লেগেছে। কবি কে বলি আপনার আঙ্গুল বেঁকিয়ে ঘি কিন্তু ভালই উঠেছে এই কবিতায়। কিন্তু কবিতার শেষে সুন্দর একটি প্যাচ দিয়ে কবি হঠাৎ করে আনন্দের কবিতাটি দুঃখের করে তুলেছেন।
কবি তোমারে সেলাম।
সহজ ঘুম
এই কবিতায় কারও দুর্ভাগ্যের কথা বলা হয়েছে মনে হয়। ঘুম আর ভাল থাকার একটি সুস্প্ট তুলনা কবিতায় লক্ষ্য করা গেছে। তবে 'স্লিপিং পিল' কবিতার সঙ্গে এই কবিতার একটি মিল ও লক্ষ্যনীয়। কবির ভাষায় সরলতা থাকলেও প্রত্যেকটি বাক্য অর্থপূর্ণ ও সুন্দরভাবে কবিতায় বহমান।
অসাধরণভাবে কবিতা গুলি সৃষ্টি করেছেন আপনি। দ্বিতীয় কবিতাটি সেরা লাগল। আপনার সৃষ্টি আরো চাক্ষুষ করার আশা নিয়ে অপেক্ষায় রইলাম। ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন। লিখতে থাকুন।
অনেক ভালোলাগা। কবি পাঠক পরস্পর পরিপূরক। আজকাল আমিও অপেক্ষা করে থাকি আপনার মন্তব্যের। ভালো থাকুন। পাশে থাকুন এভাবেই।
ReplyDelete