ভাসান




তুমি তো সেই মানুষ যে কিনা মাটির দেবীকে মহা সমারোহে পুজো করে, একেবারে নিখুঁত পুজো
পান থেকে চুন খসা যাবে না, কাঁঠালি কলা জোড়া হলে চলবে না, বেলপাতায় ছিদ্র থাকলে চলবে না।
গঙ্গাজলে ভাটা, নিচু জাতের বামুন হলেও চলবে না
এমনকি ধুনোর গন্ধ, কর্পূরের উবে যাওয়ার ক্ষমতা সবটুকু যাচাই করে তবেই পুজোয় বসো
তারপর কি করো? ভগবানের সাথে সন্ধিপত্র  স্বাক্ষরিত হয়ে গেলেই ওটাকে পানা পুকুরে ঝপাং
আর আমি? আমি তো একটা মানুষ !
কোনো শিল্পীর আঁকা ভাস্কর্য নই, ঘোষ পাড়ার গেঁয়ো একটা মেয়ে। আমার বেখাপ্পা স্তন, ভোঁতা নাক, মোটা ঠোঁট সবটুকুই আমার মায়ের জঠরে একটু একটু করে সম্পূর্ণতা পেয়েছে। এ তো কুমুরটুলি থেকে আনানো দেবী মূর্তি নয় যে ইচ্ছে মত তুলি চালাবে!
তাই আমার জন্যেও যে ঐ পানাপুকুর
কিংবা পচা ডোবায় বরাদ্দ সে তো আমি জানি
তুমি তো সেই মানুষ যার বোধনের আগ্রহের থেকে
বিসর্জনের তৎপরতা বেশি।

Comments

  1. অনেক খারাপ লাগল এই কবিতাটা পড়ে আপনার জন্য। নিজের জীবনের অভিব্যক্তি কে এই কবিতার মাধুর্য দিয়ে তুলে ধরেছেন যেন কিছুই হয়নি। পুজোর মহাসমারোহে র আলোর পিছনের অন্ধকারটা যেন গান শেষে জেনারেটরের মত বেখাপ্পা।
    মন খারাপ করবেন না। আপনার মত এত গুনবতী লেখিকার জীবনের জন্য নিশ্চই কেউ না কেউ আছে।
    যদি অনধিকারচর্চা করে থাকি শাসন করবেন। বা ক্ষমা করে দেবেন।
    ভাল থাকবেন। সুখে থাকবেন। লিখতে থাকবেন।

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

বিচ্ছেদের কবিতা

কবিতা

পাখির কাছে স্বীকারোক্তি

বিষণ্ণতার গল্প

জীবনের কবিতা

ভাঙন

আধুনিক কবিতাগুচ্ছ

প্রেমের কবিতা

বৃষ্টি কুঁড়িগুলো ফুটবে