বাঘমুণ্ডি
পাহাড় :
বই এর ভাঁজে শীত ঘুম আর বুক ছুঁয়ে তোর ঠোঁট
বিরহী পাহাড় পোষে অসুখ আর ধূসর বাঁধে জোট
ঝর্ণা :
জল ছুঁয়ে তোর পা আর তোর স্পর্শ ছুঁয়ে আমি
ওই পাহাড় জানে সব গল্প কথা ঝর্ণাও অন্তর্যামী
বন :
শিখর জানে মৃত্যু-কথা,আজ আমিও জানি মরণ
কাছ ঘেঁষে আত্মজন তবুও কেন ব্যথিয়ে ওঠে বন
নুড়ি :
ঝরন্ত জলের শব্দে আহত নুড়িও চেনে আমার উচ্ছলতা,
তোর স্পর্শ-দৃষ্টিতে বিচ্ছিন্ন আঙুলের জোড়, নাম দিয়েছি বিহ্বলতা
ছৌ-নাচ :
পাকদণ্ডির পশ্চিম ঢাল প্রেমিক আদর-গাছ
পায়ের কাছে শীত কিত্ কিত্ প্রিয় ছৌ নাচ
মুখোশ গ্রাম:
প্রিয় জনের মুখ নেই, আছে কেবল কাঁপন ধরা সুখ
মুখোশ গ্রামে সবাই শিল্পী, ওদের ছত্রিশ ইঞ্চি বুক
তৃণভূমি :
বিস্তীর্ণ ঘাসফড়িং গড়িয়ে চলে, পায়ে তাদের চাকা
প্রেমিকার সুডৌল বুক যেন সবুজ সুতোয় ঢাকা
অপূর্ব লিখেছেন আপনি। প্রকৃতির সাথে আপনার প্রেমের মিশ্রণ এর লেখা আগেও পড়েছি। কিন্ত এই লেখায় প্রকৃতি প্রেম এর সাথে আরেকটি নতুন জিনিসের সমন্বয় ঘটালেন আপনি, তা হল প্রাকৃতিক আদিমতা। দুর্দান্ত ভাবে তুলে ধরলেন প্রেম, প্রকৃতি ও কামের সংমিশ্রণ।
ReplyDeleteআরেকটি জিনিস আপনার লেখায় আবছা ভাবে ধরা পড়লো, জানিনা কতটা ঠিক। তা হল এক অগাধ অপূর্ণতা। যদি কিছু অনধিকার চর্চা করে থাকি দয়াকরে ক্ষমা করে দেবেন এবং সংশোধন করে দেবেন।
ভাল থাকবেন। লিখতে থাকবেন। অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
Deleteআপনার মন্তব্য বার বার আমাকে স্তম্ভিত করে। আপনি হলেন এমন পাঠক যে কবিকে পড়ে ফেলেন অচিরেই। ভালো থাকুন। লেখার পাশে থাকুন।