বাংলা কবিতা - ৪




জন্ম থেকে কাঁদছি, কখনো দুধের জন্য
কখনো একমুঠো লাল নীল নুড়ি কাঁকরের জন্য
এত কেঁদেছি যে বাড়ির লোক কান্নাটাকেই আমার ভাষা বলে ধরে নিয়েছে। কেউ কখনো আমার কান্নায় বিচলিত হয়নি, ভেবেছে কাঁদছি মানে বেঁচে আছি তাই আমি সয়তে পারি না কান্নার শব্দ
মানুষের কান্না আমাকে বিহ্বল করে, বিশেষত পুরুষের কান্না আমাকে ফালা ফালা করে দেয় যেন আমার বুকের ভিতর পোষা মৃতদেহ কেউ শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছে। মৃতদেহকে আমি ভয় পাই,
আমার মতো যারাই দেখেছে প্রিয় মানুষকে মরা হয়ে যেতে তারা সবাই মৃতদেহকে ভয় পায়, এ আমার বিশ্বাস। কান্নার শব্দে স্নায়ু কাজ করে না, অস্থিত স্নায়ু পাগলের মতো পাহাড় জঙ্গল নদী হাঁতড়িয়ে ফুল জড়ো করে, সেই ফুল আমি বিছিয়ে দিই সকল অশ্রুসিক্ত চোখের ওপর, ঢেকে দিই কান্নার গতিপথ,
তুমি বলতে পারো পাপ আমি জানি পুজা ।

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

বিচ্ছেদের কবিতা

কবিতা

পাখির কাছে স্বীকারোক্তি

বিষণ্ণতার গল্প

জীবনের কবিতা

ভাঙন

আধুনিক কবিতাগুচ্ছ

প্রেমের কবিতা

বৃষ্টি কুঁড়িগুলো ফুটবে