গুচ্ছ কবিতা
দৃশ্যপট
কিছু পেয়েছি, হাত একেবারে খালি নয়
সোনার জল অশ্রু হয়ে জেগে থাকে পলকে
বিশেষ কিছু ঘটেনি কখনও, দৃশ্য সব আটপৌরে
আমিই অতি নাটকীয় তবু বৃষ্টি পড়েছে, পাখি ডেকেছে, বাতাসে চুল উড়েছে যেমন প্রেমের গল্পে হয়
আজকাল তোমার স্বর উঁচুতে, চোখ মধ্যাহ্ণের সূর্য,
অধৈর্য্যে কুঞ্চিত ঠোঁট থেকে খসে পড়ে অপদেবতা
আমি চোখ বুজি, নিজেকে বন্দি করি শীতল দৃশ্যপটে
অন্ধকার পাকদণ্ডী বেয়ে ধেয়ে আসে জোনাকিরা
দু জোড়া ঠোঁট নিভে থাকে মুখোমুখি দৃঢ়
আচমকা জোয়ারে দুলে ওঠে নৌকো
স্রোত জলদস্যু যেন তবু দুজোড়া বুক, ঘেঁষাঘেঁষি ঋজু
বনবিথী জুড়ে পাখিদের বাস
মাথার ওপর নিবিড় শূন্যতায় ঘুর পাক খায় বাজ
দুজোড়া হাত পাশাপাশি সংকল্প
#পরজন্ম
পর জন্মে কবি হব
এ জন্মে তাড়া নেই
হাতে আমার অনেক সময়
বিশেষ রূপে খ্যাত যারা
তারা হুড়োহুড়ি করুক
উঠে পড়ুক চলন্ত ট্রেনে ঝুলন্ত বাসে
আমি হাটবো ধীরে সুস্থে
পা ফেলার শব্দ শুনে বাতাসের অবকাশে
পৃথিবীকে দেওয়ার নেই কিছু
নেওয়ার আছে পৃথিবীর থেকে তাই নিয়েছি পিছু
#বর্ষা
ফুলটা ভিজছে গাছটা দেখছে
পাখিরা ভিজছে পোকারা দেখছে
রাষ্ট্রের কোনও মাথা ব্যথা নেই
চামড়ার জুতো জোড়া ভিজছে
ওটাকে সিঁড়ির তলায় আনো
চামড়া সর্বস্ব মানুষগুলো ভিজছে
ভিজুক ধান হবে
#পরজন্ম
পর জন্মে কবি হব
এ জন্মে তাড়া নেই
হাতে আমার অনেক সময়
বিশেষ রূপে খ্যাত যারা
তারা হুড়োহুড়ি করুক
উঠে পড়ুক চলন্ত ট্রেনে ঝুলন্ত বাসে
আমি হাটবো ধীরে সুস্থে
পা ফেলার শব্দ শুনে বাতাসের অবকাশে
পৃথিবীকে দেওয়ার নেই কিছু
নেওয়ার আছে পৃথিবীর থেকে তাই নিয়েছি পিছু
#বর্ষা
ফুলটা ভিজছে গাছটা দেখছে
পাখিরা ভিজছে পোকারা দেখছে
রাষ্ট্রের কোনও মাথা ব্যথা নেই
চামড়ার জুতো জোড়া ভিজছে
ওটাকে সিঁড়ির তলায় আনো
চামড়া সর্বস্ব মানুষগুলো ভিজছে
ভিজুক ধান হবে
This comment has been removed by a blog administrator.
ReplyDeleteপ্রথম কবিতা সম্বন্ধে সেরকম মতামত দিতে পারব না, বেশ কিছুটা মাথার ওপর দিয়ে উড়ে গেল, তবু কারো প্রতি বিতৃষ্ণা অনুভব করলাম।
ReplyDeleteআপনি ত এই জন্মেই কবি, পরজন্মেও তাই হবেন? পরজন্মে আপনি বিশ্বাস করেন? তবে এটি ঠিক যে অনেকেই আছেন যারা খ্যাতির জন্যে হুরোহুরি করেন, আর তাই করতে গিয়ে নিজের প্রতি অবিচার হয়ে যায় যা তারা নিজেরাও বোঝে না।
তৃতীয় কবিতাটি পরে কেন জানি না কেভিন কার্টার এর কথা মনে পরে গেল। এখন যদিও সরকার চাষীদের জন্য অল্প হলেও ভাবছে। যদিও আপনার কবিতায় এটি উপমামাত্র।