প্রেমের কবিতা
পাথরের প্রতি
ঘৃণা করো আমাকে
ঘৃণা করো ততক্ষন
যতক্ষণ না আমি রক্তাক্ত ডালিম হয়ে উঠি
আঘাত করো আমাকে
আঘাত করো ততক্ষণ
যতক্ষণ না আমি সাম্প্রদায়িক দেশ হয়ে উঠি
না হলে তুমিই বা কেমন পাথর
আর আমিই বা কেমন প্রেমিকা!
শাওন
পথ চেয়ে চেয়ে ভেসে গেল তীর
তাই চোখের পথে ভারী বর্ষণ আজ
তুমি সামলে হেঁটো পথ নইলে
টলে যাবে পা
পিঞ্জর
বিনিদ্র রাত তোমার বুকে জেগে থাকি
তুমি টের পাও না ! অশ্রু আমার ঝরে যায়
ধুলোর মতো তোমারই বুকে, তুমি টের পাও না! অথচ ভোরের আলো ফুটলে আমি অন্ধ হয়ে যাই
পথের খোঁজে হারিয়ে যাই তোমার পাঁজরে পাঁজরে
কন্টকাভিসার
তোমার দুয়ারে কাঁটাগাছ
জানি, আমার প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে
কিন্তু এ চরণ অবাধ্য, শৌখিন
আলতার চেয়েও এর
তোমার উঠোনের রক্তই প্রিয়
প্রকৃতি ও পুরুষ
যে পুরুষ, নারীর ভালোবাসায় হারাতে ভয় পায়
তাকে প্রকৃতি ছেড়ে গেছে
যে পুরুষ, ক্রন্দনরতা নারীর অশ্রু স্পর্শ করতে কুন্ঠিত তাকে নদী ছেড়ে গেছে
যে পুরুষ, শীতার্ত নারীকে ওম দিতে পিছুপা হয়
তাকে আগুনও ছেড়ে গেছে
তার জন্য শুধু অপলক অতিকায় রাত
গন্ধশূন্য
আমি যা ভাবি, আমার আগে অন্য কেউ পূরণ করে এইভাবেই আমার স্বপ্নে বানানো বাড়িটা হঠাৎ একদিন বেহাত হয়ে গেল এবং ক্রমাগত হস্তান্তর হতে হতে শূন্যে মিলিয়ে গেল। যে বাড়ির গাছপালা, লতা-গুল্ম আমি নিজে হাতে পুঁতেছি, তার সুগন্ধে এখন অন্য বুক ভরে আছে অথচ গন্ধহীন আমি বাগানের পরিখা আগলে বসে আছি।
আনন্দধারা
একটা রাত, ক্রমশ ভোর হলো। উন্মুক্ত ঝর্ণার মতো আমি আনন্দে বয়ে গেলাম অন্ধকার রাত্রির সুড়ঙ্গ বেয়ে। আমার একটুও ভয় করেনি কারণ সে রাতে আমার পাশে পাশে সুখ হেঁটেছিল। ওই একটি রাত তোমার আমার।
পূণ্যভূমি
যে দেশে এত বেশি অন্নাভাব সে দেশের
প্রেমিকদের উচিত মাটির বুক কর্ষণ করা,
ফসল ফলানো,
চাষের মতো পূণ্যানুভূতি প্রেমেও নাই
বাঁক
সরলরেখার মতো নদী,
তুমি জানবে কী করে প্রতি বাঁকে
কত ব্যথা থাকে!
প্রবহমান
সুদিন দুর্দিন কিছুই থেমে থাকে না, বয়ে যায়
আমাদের সুখ যাপনের কিংবা দুঃখ চর্বনের জন্য
শুধু আমরাই পড়ে থাকি।
তুমি থাকো কোথায় সীমা
ReplyDeleteযেমন ভালো ও সুন্দর তোমার কোবিতা,তেমন সুন্দর দেখতে তুমি,তুমি ভালো থেকো,👌👌👌
ReplyDeleteভালো জোদি লাগে তোমার ফোন কোরো 9641539640
ReplyDelete9310969256
Delete