হেমন্তের দিনগুলো
হেমন্তের দিনগুলো
হেমন্তের দিনগুলো শোকময়
যেদিকে তাকাই শুধু অনন্ত বিচ্ছেদ!
আমিও কি বেঁচে আছি? টের পাই না আর
জীবন আকুতি কবে কোন ধুলোয় মিলিয়েছে
মনে নেই সে কথা! চোখগুলো মরা মাছের মতো নির্জ্বল
পারলে তুমিই কানকো উল্টে একবার দেখে নিও
জীবন বাকি আছে কি না!
ছুটি
হাত আলগা করে দিলাম
যেতে পারো তুমি যতদূর চাও
ক্লান্ত হলে নদীর ছায়ায় বিশ্রাম নিও
আমিই পাশ দিয়ে বয়ে যাব নদী হয়ে
তৃষ্ণা পেলে এক আঁজলা জল
পান করে নিও।
জীবন-মৃত্যু
জীবন মৃত্যুর কিনার আমি দেখেছি
দূর অবধি জল।, কোনো সাঁকো থাকে না
শরীর মন এতটাই বাধ্য যেন পুতুল নাচের আসরআ
পন পর কেউ কোত্থাও নেই।
অদৃশ্য ঘড়ির দোলন, শশব্যস্ত কিছু ছায়া চলাফেরা করে। মাঝে মাঝে চোখ কপালে ওঠে বিকার আসে পুরোনো বিছানা খুঁজে খালি হাতে ফিরে যায়।
শবদেহ
বিয়োগ শিখছি নিরন্তর
ছোটোবেলায় দাগ মুছে এখন শোক গিলে
বিয়োগ বুজছি ভীষণ ভালো
জীবন থেকে আয়ু মুছলে
কি আর পড়ে থাকে?
শুধুমাত্র শবদেহ!
শালুক ফুল
মনে মনে একশো বার ডাকার পর তবেই তোমার জানলা অবধি আসতে পেরেছি, শালুক ফুল। কাঁপা কাঁপা গলায় অতি ক্ষীণ স্বরে তোমাকে একটি বার ডাকতে আমার যে কত লক্ষ বছর পার হয়ে যায় তা যদি টের পেতে, অমন রূঢ়ভাবে কখনও জানলা বন্ধ করতে না!
Comments
Post a Comment